নিজস্ব প্রতিবেদক: গত শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার উত্তরার রূপায়ণ সিটিতে বলয় মাল্টিমিডিয়া গ্রুপের পক্ষ থেকে সুপ্রভাত সিডনির প্রধান সম্পাদক আব্দুল্লাহ ইউসুফ শামীমের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনা প্রদানে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন শামীম সাঈদী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কি নোট স্পিকার জাতীয়তাবাদী মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বক্তা ডক্টর ফয়জুল হক, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি ও জিয়া পরিষদ অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সভাপতি ডক্টর কামরুজ্জামান কায়সার এবং চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্দালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর শাহ আলম। কবি ও সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা মুন্না সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক কালবেলা পত্রিকার অপরেশন সেলস এবং মার্কেটিং ডিরেক্টর রিমন তালুকদার, জেনারেল ম্যানেজার মো. রিয়াজ শাহী, দৈনিক খবরের কাগজের ফিচার সম্পাদক খালেদ আহমেদ, দৈনিক পত্রিকা নয়াদিগন্তের প্রধান বিনোদন সম্পাদক আলমগীর কবির, প্রিন্সিপাল মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব আল মামুন, বাবুল আহমেদ, সাংবাদিক আব্দুল আওয়াল ঠাকুর, যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্র সুরমার সম্পাদক শামসুল আলম। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সুপ্রীম কাউন্সিলের সভাপতি ও মরহুম মেজর বজলুল হুদার ছোট ভাই নুরুল হুদা ডিউক, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক ওমর ফারুক।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বলয় মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধর এহসানুল হক সেলিম। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করবেন মাওলানা মো. ইমাম হোসেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থা থেকে বাংলার কণ্ঠস্বর নামে ক্ষাত সুপ্রভাত সিডনির প্রধান সম্পাদক আব্দুল্লাহ ইউসুফ শামীমকে ফুলের শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্যায়ে সাংবাদিক, কর্মকর্তাদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
প্রসঙ্গত, আব্দুল্লাহ ইউসুফ শামীম ১৯৮৮ সালে ঢাকা থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৯০ সালে জাপানের টোকিও থেকে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলা, ইংরেজি, জাপানিস, উর্দু এবং হিন্দিতে সাবলিল ভাষায় কথা বলতে পারেন। তিনি জাপানের বৃহত্তম মানবাধিকার সংস্থা এশিয়ান পিপলস ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির কাউন্সিলর ছিলেন। এছাড়া জিয়া পরিষদ জাপানের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন তিনি।
প্রায় পাঁচ বছর জাপানে পড়াশোনার পর ইউসুফ শামীম ১৯৯১ সালে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান। তিনি অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র বাংলা সংবাদপত্র ‘সুপ্রভাত সিডনি’র প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কমিউনিটি লিডারশিপ বা বাংলাদেশি কমিউনিটিতে বিশেষ সমাজসেবার জন্য সর্বমহলে অতি পরিচিত। তিনি সম্প্রতি বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদের সম্মানীত উপদেষ্টা পদে ভূষিত হয়েছেন।
আব্দুল্লাহ ইউসুফ শামীম অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক কমিউনিটি ইয়ুথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ইনকর্পোরেটেডের প্রেসিডেন্ট এবং এসএসটিভি অস্ট্রেলিয়ার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি সিডনি প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া কাউন্সিল ইনকর্পোরেটেডের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আবদুল্লাহ ইউসুফ শামীম অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি সিটিজেনস অব অস্ট্রেলিয়া ইনকর্পোরেটেডের প্রতিষ্ঠাতা কার্যনির্বাহী সদস্য। তিনি বাংলাদেশি রিফিউজি অব অস্ট্রেলিয়া ইনকর্পোরেটেডের বাংলাদেশি শরণার্থীদের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। সংগঠনটি অস্ট্রেলিয়ায় শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের বিভিন্ন আইনি সহায়তা দিয়ে থাকেন।
জীবন্ত কিংবদন্তির নায়ক ইউসুফ শামীম , প্রবাসে সাংবাদিকতা ও কমিউনিটিতে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থা থেকে একাধিক পুরস্কার লাভ করেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো গত ১৫ সেপ্টেম্বর মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সংবাদপত্র এমাস্ট থেকে বিশেষ সম্মাননা, ২০২০ সালে কোভিড চলাকালে একটি নতুন উদ্ভাবনী আইডিয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ান ইমিগ্রেশন মন্ত্রী টনি বার্ক থেকে সনদপত্র, একই বছর কমিউনিটিতে স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের জন্য ক্যান্টারবেরি-ব্যাঙ্কসটাউনের মেয়র খাল আসফোর থেকে কমিউনিটি সাপোর্ট অ্যাপ্রিসিয়েশন সার্টিফিকেট লাভ করেন।
তিনি অস্ট্রেলিয়ান সিটিজেন অফ দা ইয়ার পুরস্কার লাভ করেন। তাছাড়া তিনি ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান জাস্টিস অফ পিস। এছাড়া তিনি ২০২২ সালে মাল্টিকালচারাল ঈদ ফেস্টিভ্যাল অ্যান্ড ফেয়ারে সেরা কমিউনিটি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড, কমিউনিটিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টারের (বিআইসি) আউটস্ট্যান্ডিং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড, সামাজিক ও সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য আমরা বাংলাদেশি (এবি) অ্যাওয়ার্ড, কমিউনিটি সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য সেরা কমিউনিটি নিউজপেপার অ্যাওয়ার্ড, ‘ওয়াক ফর রেসপেক্ট’ এর জন্য অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের এমপি টনি বার্কের অ্যাম্বাসেডর অ্যাওয়ার্ডসহ আরও অনেক পুরস্কার লাভ করেন।