৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ দরে ইয়াবা রেখে আসামি ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় কর্মরত এসআই জিয়া ও তার সহকর্মী মান্নান এর বিরুদ্ধে!
অনুসন্ধানে সোর্স মো: হানিফ জানায় যে গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ইং তারিখ, মঙ্গলবার জাগুরঝুলী এলাকা থেকে ফোন করে জানান মাদক ব্যবসায়ী জহির সোর্স হানিফের সাথেই আছেন তার সাথে ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট আছে। যেহেতু জাগুরঝুলী এলাকা কুমিল্লা সদর কোতোয়ালি মডেল থানার অন্তর্ভুক্ত সেহেতু সদর দক্ষিণ থানার পুলিশ অভিযান পরিচালনা করতে পারবে না। তাই সোর্স মোঃ হানিফকে ছলেবলে কৌশলে সদর দক্ষিণ মডেল থানার এলাকায় নিয়ে আসতে বলেন এসআই জিয়া ও সহযোগী মান্নান, যত কষ্টই হোক না কেন সদর দক্ষিণ থানার এলাকার আওতায় আনার জন্য। বিনিময়ে ইয়াবার অর্ধেক টাকা সোর্স মানি হিসেবে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। পরবর্তীতে হানিফ রাত ০৯.০০ সময় পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এর চন্দু হোটেলের সামনে নিয়ে আসলে তখন এসআই জিয়া ও সহযোগী মান্নান ইয়াবা ব্যবসায়ী জহিরকে ইয়াবাসহ আটক করে নিয়ে যায়।
সোর্স হানিফ আরও বলেন আমি তাদেরকে খাওয়ার বিলটাও পরিশোধ করতে হয়েছে। তাদের কথামতো সোর্স মানি হিসেবে মাদকের অর্ধেক টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও তা পাইনি বলে অভিযোগ করেন সোর্স হানিফ। ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট রেখে আসামীদেরকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এইআই জিয়া ও সহযোগী মান্নান এর বিরুদ্ধে। সোর্স হানিফ বলেন যাকে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করে, ইয়াবা রেখে ছেড়ে দেয় তার নাম, জহির জেলা: নোয়াখালী, তার নিকট ১৩,০০০-/ হাজার টাকা ছিল। সে জাগুরঝুলীতে একটি হোটেলে কর্মরত ছিল। কিন্তু মাদক উদ্ধার নিয়ে কোনো মামলা হয় নাই থানায়।
সোর্স হানিফ আরও বলেন আমি আমার পাওনা বুঝিয়ে নিতে চাইলে এসআই জিয়া ও সহযোগী মান্নান স্যার আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সদর দক্ষিণ মডেল থানার এসআই জিয়া বলেন, চন্দু হোটেলের সামনে থেকে আমরা কোনো মাদক উদ্ধার এর কাজ করিনি ঘটনা সঠিক নয়। সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান এমন কোনো ঘটনা তার জানা নেই। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম জানান আমরা অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব। উক্ত বিষয়ে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি”র সাথে কথা বললে তদন্ত সাপেক্ষে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন এছাড়াও তার আওতাধীন কোন পুলিশ সদস্য দুর্নীতির সাথে জড়ালে তাকে আগেই জানাতে বলেন।