অনলাইন ডেস্ক// সাভারের আশুলিয়ায় এইচএসসি পাস ভুয়া ডাক্তারের হাতে অপারেশনের সময় পারভিন আক্তার (৩৬) নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (০৬ অক্টোবর) রাতে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের কোনাপাড়া কলাবাগান এলাকার নিউ পপুলার হসপিটাল থেকে তাদের আটক করা হয়। এ দিন দুপুরে হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর ওই প্রসূতি মারা যান। অস্ত্রোপচার করা আটক ভুয়া চিকিৎসকের নাম রাজু আহম্মেদ। আটক অপর দুইজন হলেন- হাসপাতালটির পরিচালক জহুরা বেগম ও ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম।
নিহত পারভিন আক্তার রাজবাড়ি জেলার লক্ষ্মী নারায়ণপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি স্বামী ও চার সন্তান নিয়ে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ি দিঘিরপাড় এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
ভুয়া চিকিৎসক রাজু আহম্মেদ এসএসসি পাসের পর আর লেখাপড়া করেননি। তিনি অন্যের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ব্যবহার করে ডা. আতিকুর রহমান সেজে চিকিৎসা করতেন। তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর এলাকার মৃত বোরহান উদ্দিনের ছেলে। আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক।
এ ব্যাপারে ভুয়া চিকিৎসক রাজু আহমেদ ওরফে আতিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ডাক্তার না হলেও আমি অনেক অভিজ্ঞ। এই হাসপাতালেই কমপক্ষে ৬০/৭০টি অপারেশন করেছি। এই রোগীর ক্ষেত্রে অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। তার পেটে অপারেশনের আগে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এ কারণে তিনি স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন। এখানে আমার কোনো ভুল ছিল না।
পুলিশ জানায়, ডাক্তার আতিকুর রহমান সেজে চিকিৎসার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগীর অপারেশন করতেন রাজু আহম্মেদ। এমবিবিএস তো দূরের কথা এইচএসসি পাসের পর আর পড়ালেখা করেননি রাজু। পারভীন আক্তার নামের এক প্রসূতি অপারেশন করছিলেন ভুয়া ডাক্তার রাজু। এ সময় তার মৃত্যু হয়। সন্দেহ হলে ভুয়া ডাক্তারসহ তিনজনকে আটক করে থানায় খবর দেন স্বজনরা। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই চিকিৎসক ভুয়া বলে স্বীকার করেছেন।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।