কুমিল্লা লালমাই প্রতিনিধি// সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য ১৪-১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করা হয়। কিন্তু বর্তমানে দিনে ৬ জন মানুষের চিকিৎসা পাচ্ছেন না। যেখানে দেওয়ার কথা ছিল ৩২ রকমের বিভিন্ন রোগের ঔষধ। সেখানে স্যালাইনসহ কাশির ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে না। যেন কমিউনিটি ক্লিনিক রুপ নিয়েছে ভুতুড়ে বাড়ি হিসেবে। নেই কোন ডাক্তার নেই কোন রোগী, কুমিল্লা লালমাই উপজেলার বেশিরভাগ কমিউনিটি ক্লিনিক সাপ্তায় দুই থেকে তিন দিন খোলা হলেও আবার সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন ঘন্টার বেশি খোলা থাকে। এছাড়াও নানান অনিয়মে জর্জরিত এই ক্লিনিক গুলি।
এ নিয়ে দৈনিক রূপালী দেশের প্রতিবেদকরা অনুসন্ধানের প্রথম সংবাদ।
কমিউনিটি ক্লিনিক জনমুখী স্বাস্থ্যসেবার এই কার্যক্রম ১৯৯৬ সালে গৃহীত হয় যার বাস্তবায়ন শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। ২০০০ সালের ২৬ এপ্রিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি ইউনিয়নের গিমাডাঙ্গা গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন করেন। এর মধ্য দিয়ে দেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু পর হচ্ছে ২০০২ থেকে ৩ সালে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে পুরোদমে তার কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে ১৭ই মে জাতিসংঘে স্বীকৃতি পায়।
জাতিসংঘে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এই স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে বর্তমানে মিলছে না জ্বর সর্দি কাশির ঔষধ।আমাদের কুমিল্লা লালমাই প্রতিনিধি সরজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় যে নিয়মিত ডাক্তার না থাকা, পর্যাপ্ত পরিমাণ ঔষধ না দেওয়া, কোন প্রকারের সময় না মানা, রুগী এসে ফিরে যাওয়া, রোগীকে যথেষ্ট পরিমাণ চিকিৎসা এবং সময় না দেওয়া সহকারে আরো নানান রকম অনিয়ম আগে থেকেই চলে আসছে এই কার্যক্রম!
এ নিয়ে উক্ত কমিউনিটি ক্লিনিক এর চিকিৎসকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে, অধিকাংশ ডাক্তারের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। বাকিরা দেখাচ্ছেন নানান ধরনের অজুহাত। এ নিয়ে লালমাই উপজেলা কমিউনিটি ক্লিনিক এর সুপারভাইজার হারুন পাশা এর সঙ্গে কথা বললে তিনি নানান ধরনের অজুহাত দেখিয়ে বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি প্রকার করেন। এলাকায় ভুক্তভোগীরা এইটার ক্ষোভ প্রকাশ করলেও নিয়মিত চিকিৎসা সেবা ও যথেষ্ট পরিমাণ ঔষধ এর বিষয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে আশা ব্যক্ত করেন।