আব্দাহিয়ুর রহমান আপেল:কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ১ম পর্যায় কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দকৃত প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
১৪ লক্ষ টাকার অধিক বরাদ্দের টিআর প্রকল্পের কাজ ৬ লক্ষ টাকার মধ্যে সম্পুর্ণ করে বরাদ্দের বাকি ৮লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড মেম্বার ও উক্ত টিআর প্রকল্পের সভাপতি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে টিআর ১ম পর্যায়ের প্রকল্পের আওতায় উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে দওবন গ্রামে শহীদের দোকান থেকে আনসারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের বরাদ্দ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, এলাকাবাসী জানায় ১০০ দিনের কর্মচারীদের দিয়ে কোন রকম দায় সারা কাজ করে টাকা আত্মসাত করেছে, ৩নং ওয়ার্ডের কোম্পানি পাড়া গ্রামের জলিল মেম্বারের বাড়ি থেকে বাইতুল নাজাত জামে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের বরাদ্দ ১ লাখ ৫০ হাজার,
প্রকল্পটিতে ইজিপি প্রকল্পে কর্মচারীদের দিয়ে কাজ করে টাকা আত্মসাত, ৭নং ওয়ার্ডের খাউরার কুটি গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে টরটরার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের বরাদ্দ ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা এখানেও ১০০ দিনের কর্মচারীদের দিয়ে মাটি কেটে কোনো রকম রাস্তা মেরামত করেছে,ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের, আবার চর খাউরার কুটি মৌজার বলদিয়া সীমানা হতে পাদু মেম্বারের বাড়ির নিকট মোড় পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের বরাদ্দ ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা,এখানেও ১০০দিনের কর্মসূচির কর্মচারীদের দিয়ে প্রকল্পের কাজ করিয়েছে বিষয়টি ঐ ওয়ার্ডের কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিশ্চিত করেছেন । ৯নং ওয়ার্ডের চর খাউরার কুটি গ্রামের মাইনুলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের বরাদ্দকৃত চাল ৬.৫৫০ মে:টন যাহার মূল ১লাখ ৭৫ হাজার, বরাদ্দের কাজটি ১০০ দিনের কর্মচারীদের মাটি কাটিয়ে টাকা আত্মসাত করেছে বলে দাবী এলাকাবাসীর, ৫নং ওয়ার্ডের চর রাবুইটারী কালামের দিঘীরপাড় গ্রামে চর রাবুইটারী হাফেজিয়া মাদ্রাসার সামনে কাঠের ব্রিজ নির্মাণের বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৬৬ হাজার, স্হানীয় এলাকাবাসী অনেকে জানায় দু’বছর আগে থেকে এই কাঠের ব্রিজ ছিল বর্তমানে আমরা এলাকাবাসীর চাঁদা উত্তোলন করে এটি মেরামত করেছি,এখানে কোন সরকারি বরাদ্দ আসে নি,৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও উক্ত টিআর প্রকল্পের সভাপতির নিকট এলাকাবাসী বক্তব্যে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, বরাদ্দের কাজ হয়নি এটা ঠিক কিন্তু আমার বলার কিছুই নেই (জাবেদ আলী) চেয়ারম্যানকে বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেন কারন আমি তার কথার বাইরে কিছু করতে পারি না, ততখানিক তিনি চেয়ারম্যানকে মুটোফোনে যোগাযোগ করলে চেয়ারম্যান তাহাকে বলে যে, সাংবাদিকদের বলে দাও ,কাজ সঠিক ভাবেই হয়েছে, তার পরে ইউপি সদস্য সংবাদকর্মীকে বলেন এ বিষয় আমি আর কিছু বলতে চাই না,শুধু একটা কথা বলি সেটা হলো” সবকিছুর মূলে চেয়ারম্যান,এখন বুঝে নেন আপনারা, ১নং ওয়ার্ডের হাটের কুটি মুন্সিপাড়া গ্রামে রুহুল আমিনের বাড়ির সামনে ইউড্রেন নির্মাণের বরাদ্দ ১ লাখ টাকা কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মাত্র ৪০ হাজার টাকা দিয়ে ইউড্রেন নির্মাণ করেছে এবং বাকি টাকা চেয়ারম্যান মেম্বার যোগসাজশে ভাগ করে নিয়েছে বলে জানায় ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও উক্ত টিআর প্রকল্পের সভাপতি (প্যানেল চেয়ারম্যান) আক্তার হোসেন, প্রতি ওয়ার্ডের কাজ একই নিয়মে হয়েছে বলে জানায়
৪নং ওয়ার্ডের মোঘলকাটা গ্রামের জাফর মেম্বারের বাড়ির সামনে ইউড্রেন নির্মাণের বরাদ্দ ১ লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও মাত্র ৪০ হাজার টাকা খরচে ইউড্রেন নির্মাণ করে বাকি টাকা চেয়ারম্যান মেম্বার ভাগ বাটোয়ারা করে নেন । ৭নং ওয়ার্ডের ধাউরার কুটি গ্রামের রমজান মাষ্টারের বাড়ির সামনে ইউড্রেন নির্মাণের বরাদ্দ ১লাখ টাকা এখানেও ৪০ হাজার খরচে ইউড্রেন নির্মাণ বাকি টাকা ভাগ বাটোয়ারা । এছাড়া একটি মসজিদ ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার সংস্কারের বরাদ্দের টাকা ঠিক ভাবে পেয়েছ, তবে সব ইউনিয়নে মোট বরাদ্দ ১৪ লাখ ৮২ হাজার ৭৫০ টাকা।
অনুসন্ধানে জানা যায় আন্ধারিরঝার ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে রাস্তা সংস্কারে বরাদ্দকৃত প্রতিটি রাস্তা সংস্কারের বরাদ্দকৃত টাকা যোগসাজশে ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যগণ। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বিষয় জানালে তিনি জানান – এর আগের পিআইও সাহেব কি করেছেন তা আমার জানা নেই। আমি বিষয়টা তদন্ত করে দেখে তারপর মন্তব্য করতে পারবো।