নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখ রাত ০৭.০০ মিনিটে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলা কালিয়ারচর এলাকার জনৈক রবির পরিত্যক্ত গরুর ফার্মে গণধর্ষণ এর ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে চান্দিনা থানায় ০৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করে। উক্ত ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করলে র্যাব ১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অদ্য ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ ইং তারিখ দুপুরে র্যাব ১১, সিপিসি-২ ও
র্যাব-৭ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল চট্টগ্রাম জেলার ডাবলমুরিং থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় ০৩ নং আসামী’কে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামী হলো
কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার কালিয়ারচর এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে মো: নবীর হোসেন।
কুমিল্লা র্যাব ১১ সিপিসি ২ এর অধিনায়ক লে: মাহমুদুল হাসান রাতে এক ক্ষুদে বার্তায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
র্যাব জানায় গ্রেফতারকৃত আসামী নবীর হোসেন’কে
জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।
ভিকটিম লামিয়া আক্তারের সাথে আসামী বোরহান এর টিকটক এর মাধ্যমে পরিচয় এবং তাদের মধ্যে একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আসামী বোরহান সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঘটনার দিন ভিকটিমকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে যায়। ভিকটিম সেখানে গেলে গ্রেফতারকৃত আসামীসহ তার অন্য দুজন সহযোগী ভিকটিমকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখে। আসামীরা উক্ত ঘটনা সর্ম্পকে কাউকে কিছু জানালে মোবাইলে ধারনকৃত ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার করে দিবে বলে ভিকটিমকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে ভিকটিম তার পরিবারকে উক্ত ঘটনা সম্পর্কে জানালে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে চান্দিনা থানায় গণধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর ধৃত আসামীসহ অন্যান্য আসামীরা গ্রেফতার এড়াতে আত্নগোপনে চলে যায়।
র্যাব জানায় গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত আছে