জুয়েল খন্দকার, সিনিয়র রিপোর্টার: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ কেন্দ্রে অনৈতিকভাবে অনুপ্রবেশ ও অনিয়মে”র অভিযোগ উঠেছে বেসরকারি হেলথ্ প্রজেক্টে (টিবি লেপ্রোসি প্রজেক্ট) অস্থায়ীভাবে চাকুরিরত ডা. কাদিরুল কাউসার আল-আমিন এর বিরুদ্ধে।
ফার্স্টক্লাস গ্যাজেটস অফিসার ছাড়া যেখানে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রের কোন দায়িত্ব দেওয়া হয়নি সেখানে একটি বেসরকারি হেলথ প্রজেক্টে (টিবি লেপ্রোসি প্রজেক্ট) চাকুরি করা ডা. কাদিরুল কাউসার আল-আমিন মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রে পরিদর্শকের আইডেন্টিটি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে পরীক্ষার হল রুমে দীর্ঘ সময় কেন্দ্রে অবস্থান করতে দেখা যায়। যেখানে মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার কেন্দ্রের আশে-পাশে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি ছাড়া কারো প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তার কোন তোয়াক্কা করেনি বরং সাথে মোবাইল ফোন নিয়ে হলে অবস্থান করে ছবি তোলা সহ ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার নিজ ফেইসবুকেও প্রকাশ করেন ডা. কাদিরুল কাউসার আল-আমিন।
পরীক্ষা চলা কালে তার এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ দায়িত্ব পালন কারী সিনিয়র অফিসারগণ। এছাড়াও প্রশ্নপত্র ফাঁস করা ড্রাইভার জবেদ আলীর মতন প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ারও আশঙ্কা করছেন সিনিয়র অফিসারেরা। কারণ উক্ত কক্ষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মির্জা তাইবুল ইসলাম এর ছেলে ভর্তি পক্ষিয়ায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া প্রতিরোধে নির্দিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে কারো মোবাইল নিয়ে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কোন নিয়মকেই তোয়াক্কা করেনি ডা. কাদিরুল কাউসার আল আমিন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় ডা. কাদিরুল কাউসার আল আমিন কুমিল্লা মহানগর ড্যাব এর সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক ছাত্রদল নেতা। এই রাজনৈতিক পরিচয়কে ব্যবহার করে কুমিল্লা সিভিল সার্জন অফিস এবং কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ান। সরকারি কোন কর্মকর্তা না হয়েও সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বিভিন্ন কাজকর্মে অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং সরকারি মিটিং এ উপস্থিত থাকেন। সিভিল সার্জন অফিস এবং কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ট্রান্সফার, তদবির সহ কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিভিন্ন হুমকি-ধমকির অভিযোগ উঠেছে তার রিরুদ্ধে।
উক্ত বিষয় জানতে ডা. কাদিরুল কাউসার আল আমিন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও প্রকাশ এর বিষয়টি সত্য তিনি ভুল বসত কিংবা নিজের অজ্ঞাত বসত এই ছবিটি পোস্ট করেছেন তিনি তার নিজ ফেইসবুক ওয়ালে এডিট করে। তিনি আরও বলেন আমি দলীয় সাংগঠনিক রোশানালয়ের শিকার হচ্ছি। তিনি যদিও দাবি করেন যে, বেসরকারি হেলথ প্রজেক্টে (টিবি লেপ্রোসি প্রজেক্ট) চাকুরিরত রয়েছেন তবে তিনি সিভিল সার্জনের থেকে লিখিত দায়িত্ব পেয়ে হল পরিদর্শন করেন। উক্ত বিষয় জানতে কুমিল্লা সিভিল সার্জন”র অফিস সূত্রে জানা যায় যে উক্ত বিষয় তারা জেনেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি প্রকাশের বিষয়টি। এই বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।