নিজস্ব প্রতিবেদক :গত ২২ ই জানুয়ারী ২০২৫ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পিপুলিয়া কিং টঙ্গিরপাড় ভারেঙ্গা চর গাঙ্গের পাড়ের (সুয়েজ গেটের আওতাদিন) মাটি কাটার সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড অভিযান পরিচালনা করে। এই গাঙ্গের পাড়ে সুয়েজ গেট অবস্থিত যা বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণ করে। এই গাঙের পাড়ের বাঁধের মাটি কাটাতে বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত এই দক্ষিন অঞ্চলের মানুষের। বন্যায় প্লাবিত হয় অই অঞ্চলসহ আশে -পাশের অঞ্চল সমূহ । মাটি খেকোদের কারনেণ এই অঞ্চলে কোন ফসল উৎপাদন করতে পারেন না স্থানীয় কৃষকরা, ভূমি দস্যুরা একটা শক্তিশালী সিন্ডিকেট, গত কিছু দিন পূর্বে ও সদর দক্ষিণ উপজেলার এসিল্যান্ড অভিযানে যাওয়ায় সুয়াগাজী বাজারে অন্তর্ভুক্ত মথুরাপুর নামক স্থানে গেলে ওই সিন্ডিকেটের হামলার শিকার হন, উল্লেখ্য যে এই ঘটনার কিছুদিন পূ্র্বে ও সদর দক্ষিণ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাদের কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
সদর দক্ষিণের এসিল্যান্ডের উপর হামলার ঘটনায় ২৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয় এবং ৩৫ জন অজ্ঞাত। পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে, ওই মামলার আসামিদের মধ্যে একজন গ্রেফতার হলেও বাকিরা এখনো রয়েছে ধরা ছোয়ার বাহিরে।
অনুসন্ধান বেড়িয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য, নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, মাটি কাটার সিন্ডিকেটে
জড়িত আবু তাহের, মোশারফ,সাদেক, রুস্তম), যারা পিপুলিয়া, সুয়াগাজি, মথুরাপুর,গোয়ালমথন, জোড় পুস্করনী এলাকায় ফসলি জমির টপসয়েল কাটার সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত। এছাড়াও জড়িত রয়েছে গ্রাম্য চৌকিদার থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের একাধিক লোকজন। সুয়াগাজি বাজার দিয়ে ওই স্থানে প্রশাসনের লোকজন আসতে দেখলো গ্রাম্য চৌকিদার এবং নাইট গার্ড মুঠোফোনে ফোন দিয়ে সিন্ডিকেট’কে বলে দেয় যে, প্রশাসনের গাড়ি আসতেছে। তখন তড়িঘড়ি করে সিন্ডিকেটের লোকজন কেটে পড়েন যার কারণে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউকে উপস্থিত পায় না, শুধু জরিমানা ও ট্রাক জব্দ করেন। ওই সিন্ডিকেটের নির্দেশ রয়েছে প্রসাশন যদি আসে তাহলে গাড়ি দিয়ে যেন পিষিয়ে মেরে ফেলা হয়। যেন বুঝা যায় এক্সিডেন্ট হয়েছে।
উক্ত বিষয়ে মাটি কাটার সিন্ডিকেটের মূল হোতা আবু তাহের’কে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি গত বছর মাটি কেটেছি এই বছর আর কাটছি না।
কিন্তু তাঁর এই কথার সাথে কোন মতেই মিল খুঁজে পাচ্ছে না অনুসন্ধান টিম, তিনি বলেন আমি ঢাকায় আছি আমি কিভাবে মাটি কাটবো।
কিন্তু অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে তিনি এলাকায় থেকে ঢাকার থাকার কথা বলছেন।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায় যে, তার পৃষ্ঠপোষকতায় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মদদ যুগিয়ে যাচ্ছে মাটি কাটার সিন্ডিকেট’কে। তাছাড়াও অবৈধ মাটি কাটার অর্থ চলে যাচ্ছে তার পকেটে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে গত ২২-ই জানুয়ারি ২০২৫ এ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অভিযানের ব্যাপারে জানতে চাইলে কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকোশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন “আমরা কোন কিছু জব্দ করতে পারি না” আমরা থানায় চিহ্নিত মাটি কাটার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে এসেছি, দেখি এখন পুলিশ কি করে!
এই ব্যাপারে সদর দক্ষিণ থানার ওসি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ০৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ গিয়ে উক্ত স্থান তদন্ত করে এসেছে। আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যহত আছে