নিজস্ব প্রতিবেদক: নীলফামারী যাদুর হাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে গোপনে নিয়োগ দেয়ায় বিদ্যালয়ের প্রবেশ দ্বারে শুকরের বিষ্ঠা ফেলে প্রতিবাদ জানিয়েছে হরিজন সম্প্রদায়।
হরিজন সম্প্রদায়ের মহেষ বাসাবো জানান, আমার বাসা সামনে, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ১৯৯৩ সাল থেকে বিনা বেতনে শ্রম দিয়ে আসছি প্রধান শিক্ষকের কথায়। আমি, আমার স্ত্রী ও সন্তান রা মিলে বালিকা বিদ্যালয় টিতে পরিচ্ছন্নতার কাজ করি।এখন জানতে পারলাম প্রধান শিক্ষক অন্য এক ছেলেকে টাকার বিনিময়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এ কারনে স্কুল গেটে শুকরের বিষ্ঠা ফেলে প্রতিবাদ জানিয়েছি।
নেকচার আলী জানায় আমাকে নৈশ প্রহরী পদে চাকরি দেবার কথা বলে আমার কাছে কয়েক দফায় ৮ লক্ষ টাকা নিয়েছে প্রধান শিক্ষক। পরে জানতে পারি আমিও প্রতারিত হয়েছি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির শিক্ষক মোখলেছার রহমান, আব্দুল আজিজ, ধিরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী জানান,আমরা জানতাম না নিয়োগ হয়েছে এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই।
প্রধান শিক্ষক রেশম আলী প্রামানিক বিদ্যালয়ে সাংবাদিক উপস্থিতির কথা টের পেয়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার আগেই সুকৌশলে শটকে পড়েন। একাধিক বার তাকে মুঠো ফোনে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল করিম চৌধুরী জানান এই নিয়গ প্রক্রিয়া প্রধান শিক্ষক জানে আমি কোন কিছুই জানিনা।
সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: আইবুল ইসলাম জানান,ঘটনাটি শুনে প্রধান শিক্ষক রেশম আলী প্রামানিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনা কেন অফিসকে জানানো হলো না এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে প্রধান শিক্ষকের কাছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: হাফিজুর রহমান জানান,এ ধরনের ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।