অনলাইন ডেস্ক // নগরের সবচেয়ে বড় ডিমের বাজার পাহাড়তলীর কিছু আড়তে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা ৭০ পয়সা। ডজন হিসেবে ১৫২ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন পাহাড়তলী ডিম আড়তদার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল শুক্কর লিটন। তবে খুচরায় এখনো ১৭০ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকা হচ্ছে।
কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারের ডিম বিক্রেতা ইকবাল হোসেন জানান, খামারের লাল (বাদামি) ডিম ১৫৬ টাকা কিনে ১৬৫ টাকা বিক্রি করছি। হাঁসের ডিম ও দেশি মুরগির ডিম ২১৫ টাকা কিনে ২২০ টাকা বিক্রি করছি। কোয়েল পাখির ডিম ২৫টি ৯৫ টাকা।
তিনি বলেন, এক ডজন ডিমের পেছনে কাগজের টোঙায় ৯০ পয়সা, পলিথিনে ১ টাকা খরচ। গাড়ি ভাড়া প্রতি ডিমে ২০ পয়সা। ৫-৬ হাজার ডিমে কুলি খরচ ২০০ টাকা, দোকান ভাড়া দিনে ১ হাজার ২০০ টাকা, বিদ্যুৎ ও জেনারেটর ১০০ টাকা, স্টাফের বেতন ও খাওয়া ১ হাজার ৬০০ টাকা, সুইপার ও পানি ৬০ টাকা। ৬ হাজার ডিমে ১০০টি ভাঙা পড়বে। ডিম বেচে তেমন লাভ হচ্ছে না।
তিনি বলেন, অসহায়দের আমরা ১ হালি ৪৮ টাকা দিচ্ছি।
সরকারি দামে ডিম কিনতে না পারা, রশিদ না দেওয়ার অভিযোগ আছে কিছু আড়তের বিরুদ্ধে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা টাস্ক ফোর্স ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ডিম উৎপাদক এবং সরবরাহকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ আলীম আখতার খান নতুন এ মূল্য নির্ধারণের ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা; পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা ও খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে।