সিনিয়র সাংবাদিক, জুয়েল খন্দকার / / বৈষম্যময় ছাত্র আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার উপরে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ সহ হত্যার অভিযোগে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে কুমিল্লা মহানগর ৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার সহ তার দোসর হিসেবে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বাবুল এর বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানায় হামলা, হত্যা ও অস্ত্র মামলা সহ একাধিক মামলা থাকলেও তাকে মাত্র দুই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হলেও গ্রেফতার দেখানো হয়নি বাকি মামলা গুলিতে এমনি একটি গুঞ্জন সৃষ্টি হলে আমাদের একটি অনুসন্ধানী টিম অনুসন্ধানে মাঠে কজ করতে শুরু করে।
যানা জায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হত্যা সহ একাধিক মামলা হয় কুমিল্লা সদর দক্ষিন থানা ও কোতোয়ালি মডেল থানায়। এতে স্বৈরাচার সরকারের দোসর সাবেক এমপি হাজী আ ক ম বাহার উদ্দিন বাহারসহ একাধিক মামলার এজাহারভূক্ত আসামী হোন ২৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বাবুল ও অন্যান্য নেতা কর্মীরা।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নগরীতে বিজয় মিছিলের পাশাপাশি বেশ সহিংসতা চলে। বিকেলে কুমিল্লার আদালতে হামলার খবর পেয়ে ছুটে যান আবুল কালাম আজাদসহসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী। সন্ধ্যায় তারা নগরীর মোগলটুলী এলাকায় পৌঁছালে তাদের ওপর হামলা হয়। অভিযোগ রয়েছে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ রায়হান আহমেদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় ও ককটেল ছোড়ে। এতে আবুল কালাম কোমরে গুলিবিদ্ধ হন। কাইমুল হক রিংকু এবং তাঁর দুই ছেলেসহ আহত হন আরও ৬-৭ জন আইনজীবী। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে ওই রাতেই আবুল কালামকে রাজধানীর একটি হাসপাতালের আইসিইউ এবং পরে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার পরে এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ এর মৃত্যু হয় বলে তার সহকর্মীরা জানান।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আইনজীবী কাইমুল হক রিংকু বর্ণনা দিয়ে বলেন, আদালতে সহিংসতা থামিয়ে ফেরার পথে বিনা উস্কানিতে কাউন্সিলর রায়হানের নেতৃত্বে কালা বাচ্চু, রাকিব, সুমন ও রকিসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আমাদে প্রকাশে গুলি চালানো”সহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। উক্ত বিষয় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে উক্ত মামলায় ২৫নং ওয়ার্ড এর সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বাবুল”কেও আসামী করা হয়। সব কিছু মিলিয়ে বিভিন্ন মহল গুঞ্জন সৃষ্টি হয় যে ২৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বাবুলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও মাত্র দুইটি মামলা গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। প্রশাসনের কারসাজির করছেন বলেও অনেকে অভিযোগ করেছেন।
আমাদের টিম অনুসন্ধানে নামে উক্ত বিষয় বিভিন্ন মহলে কথা বলে ও পর্যালোচনা করে পরে কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিনুন ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি সাথে সাথে মামলার সমস্ত নথিপত্রে ঘাটাঘাটি করে সাথে সাথে অনুসন্ধানী টিমকে জানিয়ে দেন যে কোতোয়ালি থানায় ২৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মাত্র দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে আর এই দুই মামলাই তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিন মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন আমি নতুন এসেছি তাকে আমি চিনি না তবে আমি সব কিছু তথ্য নিয়ে যদি মামলা থেকে থাকে তার বিরুদ্ধে বাকি যেই সব আইনি প্রক্রিয়া আছে সব গুলি প্রক্রিয়া আমরা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান। অনুসন্ধানে জানা যায় যে দুই থানা সহ আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে সেই সব মামলাতেও হারুনুর রশিদ বাবুলকে আসামী করা হয়েছে তবে এসব মামলা গুলি প্রশাসন বিভাগের বিভিন্ন সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যেই মামলা গুলি বিষয় পুলিশ জানেন না কিংবা তারা জানারও কোন রকম প্রয়োজন নেই। কেন না যখনি দায়িত্ব আসবে তখনি পদক্ষেপের কথা আসবে এর আগে আসাটার ভিত্তিহীন।