অনলাইন ডেস্ক:
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার বাংলাদেশ সফর। অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, অস্ট্রেলিয়া তাদের ভিসা কেন্দ্র ঢাকায় পুনঃস্থাপন করবে এবং বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অনিয়মিত অভিবাসন প্রতিরোধে আলোচনা শুরু করার পরিকল্পনা করছে।
অধ্যাপক ড. ইউনূস এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন দেওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
বার্গের নির্বাচনি এলাকায় বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি প্রবাসী বাস করেন। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রতি তিনি গভীর আগ্রহ দেখান এবং স্বৈরাচারী শাসনের পতনের পর জনগণের বড় উদযাপন সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনা বাংলাদেশের জন্য বড় সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।
ড. ইউসূফ বলেন, ‘চ্যালেঞ্জগুলো বড়। প্রত্যাশাগুলো মোকাবিলা করাই সবচেয়ে কঠিন কাজ। তবে জনগণ ধৈর্যশীল। আমাদের আবার কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।’
বার্গ অনিয়মিত অভিবাসনের বিষয়ে আলোচনা শুরু করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, তার সরকার এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু করতে চায়।
ড. ইউনূস অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রীকে অনিয়মিত অভিবাসীদের নিয়মিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে নিয়মিত অভিবাসন বাড়ানোর জন্য উৎসাহিত করেন। মন্ত্রী জানান, তারা বাংলাদেশ থেকে নিয়মিত অভিবাসনের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করছেন।
প্রধান উপদেষ্টা কমিশনগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করেন, ‘যার মধ্যে পাঁচ সদস্যের নিখোঁজ তদন্ত প্যানেল রয়েছে, যা স্বৈরশাসন চলাকালে সংঘটিত কয়েকশ’ গুমের ঘটনা তদন্ত করছে।
অধ্যাপক ইউনূস অস্ট্রেলিয়ান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ বইটির একটি কপি উপহার দেন, যা গণআন্দোলনের সময় দেশের শহর ও শহরতলির দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতি ও ম্যুরাল নিয়ে রচিত।
অস্ট্রেলিয়ান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উপহারটির প্রশংসা করেন এবং শহরের কিছু অংশে গিয়ে সেই শিল্পকর্মগুলো নিজ চোখে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।