রূপালীদেশ রিপোর্ট: তীব্র দাবদাহে বিপাকে পড়েছেন পোল্ট্রি উদ্যোক্তারা। অত্যধিক গরমে খামারেই মারা যাচ্ছে অসংখ্য মুরগি। বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, টানা ১০ দিনের তাপপ্রবাহে এ খাতে ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে খামারিদের রক্ষায় সরকারি সহায়তার দাবি তাদের। টানা কয়েকদিন ধরেই চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এমন আবহাওয়ায় জনসাধারণের পাশাপাশি অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে পশু পাখিও। গরমে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে পোল্ট্রি খামারে।
খামারিরা দাবি করছেন, চলমান তাপপ্রবাহে হিট স্ট্রোকে নরসিংদী, জয়পুরহাটসহ দেশে দিনে প্রায় এক লাখ মুরগি মারা যাচ্ছে। যার আনুমানিক ক্ষতি দিনে ২০ কোটি টাকা। গত ১০ থেকে ১২ দিনে সারা দেশে ১০ লাখের বেশি ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালি মুরগি মারা গেছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ ব্রয়লার মুরগি এবং ১০ থেকে ১৫ শতাংশ লেয়ার মুরগি।
জয়পুরহাটের এক খামারি বলেন, ‘গরমে মুরগি হিট স্ট্রোক করছে। স্যালাইন দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। ডিমের যে অবস্থা, দিন দিন কমছে। এভাবে মুরগির গ্রোথও কমে যাবে। এতে আমাদের লোকসানে পড়তে হবে।’
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার বলেন, ‘ব্যাংকঋণের মাধ্যমে প্রান্তিক ছোট ছোট খামারিদের সহযোগিতা করতে হবে, যাতে শীত বা গরমে তাদের সমস্যা না হয়। করপোরেট গ্রুপগুলোর এ ব্যবস্থা আছে। ভারতেও কিন্তু সব খামারিকে ম্যানেজমেন্টের সুবিধা দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে।’
তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় খামারের শেডে বায়ু চলাচল নিশ্চিত করাসহ নানা পরামর্শের কথা বলছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। খামারিদের সহায়তায় মোবাইল ভেটেরিনারি টিম কাজ করছে বলেও দাবি তাদের।
অধিদপ্তরের পরিচালক এ বি এম খালেদুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের ভ্যাটেনারি মেডিকেল টিম ও মোবাইল ভ্যাটেনারি সার্ভিস আছে। এর মাধ্যমে আমাদের চিকিৎসকরা কিন্তু এখন খুব দ্রুত খামারে পৌছাতে পারে এবং চিকিৎসা দিতে পারে।’ দেশে ছোট বড় মিলিয়ে পোল্ট্রি খামার রয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার।