নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এ অবস্থায় তীব্র গরম আর প্রচণ্ড রোদে নাজেহাল অবস্থা মানুষের। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ। যারা বিভিন্ন কাজে বাইরে বের হয়েছেন তারাও কাজ শেষে আবার ্রুত ঘরে বা কর্মস্থলে ফেরার তাড়ায় রয়েছেন। চলমান তাপপ্রবাহে রাজধানীসহ দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবার বেশ কয়েক জায়গায় এর চেয়েও বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ অবস্থায় সবাই ঘরে বা ছায়াযুক্ত স্থানে অবস্থান করলেও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা তপ্ত রোদেও ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন সড়কে। বাইরের প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হার মেনেছে তাদের দায়িত্বের কাছে। তবে বিষয়টি নিয়ে কষ্ট কিংবা অভিযোগ নেই কারোরই। হাসিমুখেই অন্য স্বাভাবিক সময়ের মতো পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করেছেন তারা। সোমবার রাজধানীর নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, ধানমন্ডিসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বেলা বাড়লেও রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এসব এলাকায় মানুষের কর্মচাঞ্চল্য তুলনামূলক কম। সবকিছু যেন একপ্রকার মকে আছে। তবে কর্মদিবস হওয়ায় সকাল েেকই সড়কে গাড়ির চাপ। সেজন্য যথারীতি দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট ও সদস্যদের।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, তীব্র গরমেও খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে যানজট নিরসনে ও মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ সদস্যরা। বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তারা প্রচণ্ড গরমে ঘেমে জবুথবু হয়ে গেছেন। কপাল ভেয়েও পড়ছিল ঘাম। তাতে চেহারা হয়ে গেছে তৈলাক্ত। কিছুসময় পরপরই পানি পান করছেন তারা। তবে গাড়ির চাপ বেশি াকায় বিশ্রামের সুযোগ পাচ্ছেন না। অধিকাংশ জায়গাতেই একসঙ্গে একাধিক সদস্যকে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। আবার কিছু জায়গায় বিশ্রাম নিয়ে পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করছেন তারা। সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে মাঠপর্যায়ে যেসব আনসার সদস্য কাজ করেন তাদের অবস্থাও একই। গরমে ঘামে গলদঘর্ম অবস্থা সবার। রোদের তীব্রতা েেক বাঁচতে ছাতা মাথায় নিয়ে দায়িত্ব পালন করতেও দেখা যায় অনেককে।
ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলছেন, যত কিছুই হোক ায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নেই। তীব্র তাপপ্রবাহে সারা েেশর মানুষেরই একই অবস্থা। ঘর থেকে বাইরে বের হলেই লু হাওয়া এসে গায়ে লাগছে। সবাইকে গরম, রোদ, রুক্ষ পরিবেশের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তবে এ অবস্থায় সবাই ছায়াযুক্ত স্থানে থাকতে পারলেও আমাদের সেই সুযোগ নেই। দায়িত্বের নিরিখে তপ্ত রোদেও সড়কে থাকতে হচ্ছে। এটি এমন এক দায়িত্ব, যেখানে সামান্য গাফিলতি করলে মুহূর্তেই বড় ধরনের দুর্ঘটনা কিংবা বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হবে। তাই রো, গরম সবকিছু মাথায় নিয়েই নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে সড়কে নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।