পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দুমকিতে মুরাদিয়া আজিজ আহম্মেদ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আহসানুল হক ও প্রভাষক মো: এবাদুল হক(ব্যবস্থাপণা) এর এমপিও বাতিলে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চেয়েছে মাউশি। সীমাহীন অনিয়ম-দূর্ণীতি, অর্থ আত্মসাৎ, জাল-জালিয়াতি সহ অনৈতিক কার্যকলাপের সত্যতা পাওয়ায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) ও মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর মো: শাহেদুল খবির চৌধুরীর গত ৯জানুয়ারী স্বাক্ষরিত ৭জি-১৫৪(ক-৩)২০১০/১৬২ স্মারকের চিঠিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়, আজিজ আহম্মেদ কলেজ, দুমকি, পটুয়াখালীতে অবৈধভাবে অধ্যক্ষ পদে জনাব মো: আহসানুল হক এর নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগটি সত্য প্রমানীত হয়েছে। পাশাপাশি তিনি চাকুরীর বিধান বহির্ভূত ভাবে প্রায় ৫বছর ১মাস ১৮দিন একই সাথে দু‘টি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। একই কলেজের ব্যবস্থাপনা/ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ বিষয়ে জনাব মো: এবাদুল হক এর নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগটি প্রমাণিত। বর্ণিত বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তার পর্যবেক্ষন, মতামত এবং সুপারিশের প্রেক্ষিতে আজিজ আহম্মেদ কলেজের অধ্যক্ষ জনাব মো: আহসানুল হক ইনডেক্স নং ৩০৭৯৭০৮ এবং জনাব মো: এবাদুল হক প্রভাষক (ব্যবস্থাপণা) ইনডেক্স নং ৩০৭৯৭১১৫ কে কারণ দর্শানোর জন্য এবং একই বিষয়ে একই সময়ের মধ্যে মতামত প্রদানের জন্য সভাপতি, কলেজ পরিচালনা পরিষদকে পত্র প্রদান করা হয়। কারণ দর্শানোর জবাব এবং গভর্নিং বডির মতামত সন্তোষজন না হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তার পর্যবেক্ষন, মতামত ও সুপারিশের প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ আহসানুল হক ও প্রভাষক এবাদুল হকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমানীত হওয়ায় মাউশি কর্তৃক এমপিও স্থগিত সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের নিকট চুড়ান্ত ভাবে এমপিও বাতিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, অধ্যক্ষ আহসানুল হকের বিরুদ্ধে নিয়োগ জালিয়াতি, নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থআত্মসাৎ ও সহকর্মী শিক্ষিকাকে হেনস্থা সহ নানা কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনে অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে কলেজ প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য মো. জসিম উদ্দিন হাওলাদার জাতীয় বিশ্ববিদ্যাল, মাউশি বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। এছাড়া অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম-দূর্ণীতির প্রতিকার চেয়ে অন্য একজন অভিভাবক ও অনুরূপ অভিযোগ করেছেন। এসকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাউশির পৃথক পৃথক তদন্ত কমিটির সরেজমিন তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন।