কুমিল্লা প্রতিনিধি :কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় অবস্থিত লাকসাম ক্রসিং হাইওয়ে থানা যার পূর্বে নাম ছিল লালমাই হাইওয়ে থানা। বর্তমান এ থানা থেকে লালমাই বাজারের দূরত্ব বড়জোর ৬শ গজ। এ বাজারের সাথেই ডাক বাংলো। এ ডাক বাংলোয় ৪ বছর আগেও ছিল লালমাই হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি। এখনো সেই পুলিশ ফাঁড়ির মসজিদ, থাকার কক্ষ ও অফিসগুলো ঠিকই আছে। এ পুলিশ ফাঁড়িতে বসছে গাঁজার আসর। দিনে কলেজের শিক্ষার্থীরা ডাক বাংলোয় এসে আড্ডা দেয়, আর সেই আড্ডার সুযোগ নিয়ে বখাটে ছেলেরা তাদের ধরে ব্লাকমেইলের মতো ঘটনা ঘটিয়ে ছিনতাই করে। সন্ধ্যা হলে এখানে চলে ইয়াবা সেবন ও কেনাবেচা।
হাইওয়ে থানার মতো জায়গায় মাদক কেনাবেচা হলেও পুলিশ কিছুই করে না। এলাকাবাসীর অভিযোগ, থানা-পুলিশ বরং মাদকের কারবারে সহায়তা করে। সেজন্য অভিযোগ দিলেও তারা কিছু করে না।
সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, যে স্থানের কথা বলছেন, সেটা সম্পর্কে মাত্র জানতে পারলাম। তবে আমরা টিম পাঠিয়ে ডাক বাংলোতে কাউকে মাদকের সাথে সম্পৃক্ততা পেলে আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শুধু এ লালমাই, বড় ধর্মপুরসহ সদর দক্ষিণে এ রকম মাদকের স্পট আছে ২২টি। কিছু প্রভাবশালী ও এলাকার লোকদের সহায়তায় এসব স্পট নিয়ন্ত্রণ করেন। তবে পুলিশের সঙ্গে কারা এ রফাদফার কাজটি করে তা জানা যায়নি।
ডাক বাংলো এলাকার বাসিন্দারা বলেন, সন্ধ্যার পর এ পুলিশ ফাঁড়ির ডাক বাংলোয় ইয়াবা বেচাকেনার বাজার বসে। প্রকাশ্যে মাদক ক্রেতারা আসা-যাওয়া করে। প্রতিদিন রাত ১১-১২টা পর্যন্ত লোকজন এখানে অবস্থান করে মাদক সেবন করে।
ওই এলাকার ইসমাইল সর্দার বলেন, আমিসহ এলাকার যুব সমাজের লোকসহ মাদকের কার্যকলাপ বন্ধের বিষয়ে কথা বলার পর আমার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটছে। দোকান থেকে এ মাদক কারবারিরা এ চুরি করছে। আমরা তবুও চুপ থাকবো না। যারা মাদক সেবন করে ও বিক্রি করে তাদেরকে ধরে পুলিশে দেব।
কাউসার নামের আরেকজন বলেন, পুলিশ এখানে প্রতিদিন আসলে মাদক কারবারিরা চলে যাবে।
অহিদ নামের আরেকজন বলেন, এলাকার কিছু মাদক কারবারি আছে তারা এ যুব সমাজকে নষ্ট করে দিচ্ছে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আরাফাতুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে বলেন, আমরা মাদক বিরুদ্ধে সোচ্চার। থানা-পুলিশে কেউ মাদকের বিষয়ে তথ্য দিলে সাথে-সাথে অভিযান হবে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স আগেও ছিল, এখনও আছে।