ইসমাইল মাহমুদ:মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় ছেলের কুড়ালের আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন মো. মামুন মিয়া (৬৫) নামে এক বয়োবৃদ্ধ। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (২৪ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার ১০ নম্বর দক্ষিণভাগ (দক্ষিণ) ইউনিয়নের কলাজুরা গ্রামে। ঘটনার পরপরই পালিয়েছে ঘাতক ছেলে নোমান হোসেন (৩০)। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে। ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুুল কাইয়ূম।
স্থানীয় সূত্র ও বড়লেখা থানা পুলিশ জানায়, বড়লেখা উপজেলার ৯ নম্বর সুজানগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল ১০ নম্বর দক্ষিণভাগ (দক্ষিণ) ইউনিয়নের কলাজুরা গ্রামের রঙমিস্ত্রী নোমানের। প্রেমের বিষয়টি জানাজানি হলে উভয় পরিবার এ নিয়ে আলোচনায় বসে এবং তাদের বিয়ের বিষয়টি সাব্যস্ত হয়। কিন্তু বিয়ের আলোচনার সময় মেয়েপক্ষ যে দেনমোহর দাবি করে তা দিতে আপত্তি জানান নোমানের বাবা মো. মামুন মিয়া। কিন্তু অতিরিক্ত দেনমোহরেই ওই কিশোরীকে বিয়ে করতে পরিবারকে চাপ দেন নোমান। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে নোমানের সাথে তার পুরো পরিবারের বিরোধ চলছিল। রবিবার (২৪ নভেম্বর) রাতে নিহত মামুন মিয়ার সাথে বিষয়টি নিয়ে ঘাতক নোমান হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ছেলে নোমান উত্তেজিত হয়ে ঘরে থাকা কুড়াল দিয়ে বাবা মামুন মিয়ার গলার পাশে আঘাত করে পালিয়ে যান। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরিবারের লোকজন ঘটনার সাথে সাথেই মামুন মিয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুুল কাইয়ূম বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নিহতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত নোমান হোসেনকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’