এম এ এইচ শাহীন কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ জেলার শিল্প নগরী ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সোনাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু সিঙ্গেল উত্তোলন ও লুটপাট করে যাচ্ছে।
একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট এরা এই সুযোগে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে ও স্হানীয় প্রশাসনের নীরবতা,পুলিশের যোগসাজশে সরকারের পরিবর্তনের ফলে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। প্রতিদিন
লক্ষ টাকার বালু পাথর লুট করেছে বলে নদীর পাড়ে বসবাসকারীদের জোর দাবি। বিএনপির পরিবর্তে আওয়ামীলীগের লোকজন বীরদর্পে এই সিন্ডিকেট চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন রাতে ও দিনে এসব কর্মকাণ্ড ঘটছে সরেজমিনে দেখা মিলে তার বাস্তবতার প্রতিচিত্র,শতাধিক ট্রাক্টর ও ছোট ট্রলিতে করে তারা অবৈধভাবে বালু সিঙ্গেল,চানা মটর এসব
এক্সেভেটর দিয়ে অনায়াসেই উত্তোলন করে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরপিন বাজার সড়কের মাধ্যমে পরিবহন করে ভোলাগঞ্জে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করছে। এনিয়ে সৎ সাহসে কেউ কোন প্রতিবাদ করছে না পুলিশের সাথে বালু পাথর সিন্ডিকেটের রয়েছে বলতে গেলে স্হানীয় জনতা বালু ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি। প্রতিদিন রাতের আধারে বালু লুটপাট হচ্ছে, ফলে নদীর দুই তীরের স্থাপিত এলাকার ঘরবাড়ি,বর্ষা মৌসুমে বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন ও মসজিদ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিশ্চিত হুমকির মুখে পড়বে।
এলাকায় ধুলো বালির কারণে সর্দি-জ্বর কাশি রোগের দেখা দিয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। অবাধে এই চক্রের বালু লুটপাট বন্ধের কোন পদক্ষেপ না নেওয়াতে প্রশাসনের প্রতি চরমভাবে ক্ষুব্ধ-এলাকাবাসী। সরকারীভাবে বালু পাথর উত্তোলন নদী খননের সিদ্ধান্ত নিলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে। ও সোনাই নদী খননের ফলে নদীর দুই তীরের বালু নদীর গাইড ওয়াল হিসেবে নদীকে রক্ষা করবে, এর ফলে নদী এলাকার মানুষ বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাবে। ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা অবৈধ বালু পাথর লুট সিন্ডিকেটের মুল হোতারা হলেন, প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক মেম্বার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরু মিয়ার ছেলে ওবায়দুল্লাহ, আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুল জব্বার খোকন,মাহফুজ মিয়া,গং। ৫ আগস্টের পর থেকে বালু বিক্রির ফলে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন। টেন্ডার ছাড়া অবৈধ ভাবে বালু পাথর লুটপাট হলে সরকার রাজস্ব আয় থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। এই সিন্ডিকেট কে না থামালে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকারে রূপধারণ করবে।
ছাতক থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া হাসান এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমি এই থানায় নতুন এসেছি। এ কাজে পুলিশের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্হা নেওয়া হবে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন শাহ আরপিন টিলা সহ অবৈধভাবে বালু পাথর উত্তোলন লুটপাট বন্ধে সড়কপথ ব্লক করে দিয়েছি ইতিমধ্যেই পুলিশ সেখানে নিয়োজিত আছে।
এবিষয়ে ছাতক উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জেনেছি অবশ্যই কঠোরভাবে অবৈধ বালু লুটপাট কারীদের কোন রকম ছাড় দেওয়া হবে না। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷