চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিবেদকচাঁ:পাইনবাবগঞ্জ গোমস্তাপুর থানাধীন সিরোটোলা নয়াদিয়াড়ী গ্রামের মৃত আমানুল্লাহ আমানের ছেলে, সোহেল আমান আর্জেন্ট বিএনপির নেতার উপর হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের সঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে গোমস্তাপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত নয়াদিয়াড়ী শিরোটোলা গ্রামস্থ বিএনপি নেতা সোহেল আমানের বসতবাড়ির উপর হামলায় চালিয়ে গত ১৬/০১/২০২৪ রাত অনুঃ ১০:৩০ মিনিটের সময়। তবে জানা যায় বহুদিনের জমি সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে একে অপরের যোগসাজসে বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ো তাদের গুন্ডাবাহিনী নিয়ে হাতে ছিলো দেশীয় তৈরী ধারালো অস্ত্র শস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য ককটেল ফাটিয়ে হামলা চালান তারা।
অন্যদিকে গুন্ডা বাহিনীর হাতে থাকা।থাকা লাঠি লাদনা ও লোহার রড দিয়া বিএনপির নেতার বসতবাড়ির সদর দরজা সহ বাড়ির বাহিরের জানালা
এলোপাঘাড়ী ভাবে আঘাত করিয়া ব্যাপক ভাংচুর করিয়া আমার আনুমানিক ৮০,০০০/- (আশি হাজার) টাকার আর্থিক ক্ষতিসাধন
করে। ঐ সময় অন্যান্য বিবাদীরা তার মাকে সোহেল আমানের পরিবারের লোকজনদের নাম ধরিয়া অকথ্য অম্লীল ভাষায় গালিগালাজ সহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে বলে বাড়ির বাহিরে আয় আজ তোদের প্রানে শেষ করিয়া বাড়ি ফিরব। এ সময় প্রাণ রক্ষার্থে তার পরিবারের লোকজন প্রানভয়ে
বাড়ির মধ্যে লুকাইয়া যায় এবং ডাক চিৎকারে ঘটনাটি দেখে। এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইলে। আওয়ামী লীগের গুন্ডাবাহিনীরা ডিগবেদিক পালিয়ে যায়। এছাড়াও তারা গ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বলতে থাকে লোকজনদের উদ্দ্যেশ্য করিয়া প্রাননাশ সহ বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি দেয়। বর্তমানে বিবাদীদের হুমকির কারনে বিএনপি নেতা সোহেল আমান সহ তার
পরিবারের লোকজন আতংকিত ও চিন্তিত এবং ভয়ে ভীত হইয়া চলাফেরা করিতেছি। সোহেল আমান বলেন বিবাদীরা অতর্কিতভাবে যেকোনো মুহূর্তে আমাদের উপর আক্রমন করিয়া আমাদের জানমালের ক্ষতিসাধন করিতে পারে বলে দাবি করেন তিনি।
ঘটনার বিষয় জানতে ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা সোহেল আমান আর্জেন্ট জানান, আমার ও আমার পরিবারের এছাড়াও বসতবাড়ির উপর প্রাণে মারার পরিকল্পিতভাবে যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত এবং হামলা চালিয়েছে তাদের নাম ও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন। (১) আলঃ মোঃ হুমায়ন রেজা (৬৮), ২। মোঃ জামাল উদ্দিন (৬০), উভয় পিতা- মৃত ইয়াকুব আলী মন্ডল, উভয় সাং-
মড়লপাড়া নয়াদিয়াড়ী,৩। সিপ্লব (৪৭), ৪। সানাউল্লাহ (৫২), ৫। আব্দুল খালেক (৫৪), ৬। তোফায়েল (৪৬), সর্ব পিতা-
মৃত সাইফুদ্দিন মন্ডল, ৭। মামুন (৩৪), পিতা- আব্দুল খালেক, ৮। সিজান (২৪), পিতা- সিপ্লব, সর্ব সাং- নয়ানিয়াড়ী
শিরোটোলা, ৯। আব্দুল খালেক (৫৬), পিতা- মৃত জুলুম, ১০। সালাম (৫২), পিতা- মৃত আমঞ্জু, উভয় সাং- নয়াদিয়াড়ী ডামপুপাড়া, ১১। তুরফান (৫৫), ১২। ধুলু (৫৩), ১৩। উলাল (৫০), সকলের পিতা- মৃত কুড়হান, ১৪। মিজান (৪০),পিতা- মৃত সালাউদ্দিন, সাং- নয়াদিয়াড়ী ত্রিমোহনী, ১৫। আব্দুল করিম (৪৪), ১৬। শরিফ (৪২), উভয় পিতা- মৃত আনেস,১৭। কালু (৪৮), পিতা- অজ্ঞাত, ১৮। মোঃ সাগর (২৮), ১৯। সৈকত (২৬), উভয় পিতা- সানাউল্লাহ, সর্ব সাং- নয়াদিয়াড়ী
শিরোটোলা, ২০। তোফাজ্জল (৪০), ২১। রফিকুল ইসলাম @ কালু (৩৮), ২২। মিজানুর রহমান বাবু (৩৬), ২৩।
জাহাঙ্গির আলম ও জামু (৩৪), সকলের পিতা- মৃত তোহরুল, সর্ব সাং- মোন্নাপাড়া নয়াদিয়াড়ী, ২৪। লাল চাঁন (৪৫), ২৫।
‘ফটিক (৪২), উভয় পিতা- ভূঁইরা তাসু, ২৬। ইভেন (৩৮), পিতা- মতি মড়ল, ২৭। বাবু (৪৮), পিতা- আলঃ হুমায়ন রেজা,
২৮। মধু (৫০), পিতা- জেম মন্ডল, ২৯। সুমন (৩৩), পিতা- মোসারফ, সর্ব সাং- মড়লপাড়া নয়াদিয়াড়া, ৩০। কলিম
(৩৩), ৩১। সেলিম (৩৫), উভয় পিতা- জাদু আলী, ৩২। ফারুক (৩৫), পিতা- নবু, ৩৩। রাসেল (৩৩), পিতা-
সাদিকুল, সর্ব সাং- বিশুক্ষেত্র, থানা- গোমস্তাপুর, ৩৪। নাসির (৪০), ৩৫। সাদ্দাম (৩৮), উভয় পিতা- কবির,
কালীনগর, বর্তমান সাং- মিস্ত্রিপাড়া, ৩৬। টিপু (৪৩), ৩৭। সাদিকুল (৪৫), উভয় পিতা- মৃত মহসিন মাস্টার, ৩৮। মোসাঃ
আমেলা বেগম (৬০), স্বামী- মৃত মহসিন মাস্টার, সর্ব সাং- দিয়াড় ধাইনগর, ৩৯। ফিরোজ (৪২), পিতা- ফজলু মাস্টার,
সাং- সরজন, সর্ব থানা- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল, ৪০। মোঃ নাটু (৫০), পিতা- মৃত সমসের হাজী, সাং- সালালপুর, ৪১
আলম (৪০), পিতা- মৃত খানু, সাং- সবদলপুর, থানা- নাচোল, সর্ব জেলা- চাঁপাইনবাগঞ্জসহ অজ্ঞাত নামা আর-ও ১৫ থেকে ২০ জন জড়িত রয়েছেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ বিএনপি নেতা সোহেল আমান আর্জেন্ট আর-ও তার ঘটনা কেন্দ্রিক অভিযোগ দিয়ে দাবি করে বলেন । আমি ও আমার পরিবারের উপর প্রকাশ্য সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে, আমাকে প্রানে মারিয়া ফেলিবার জন্য। আমি ও আমার পরিবার ঘটনার পর পরেই থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেও। এখন পর্যন্ত গোমস্তাপুর থানার পুলিশ মামলা এন্টি করে নাই। আসামিরা এ-তো বড় একটি ঘটনা ঘটিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ পুলিশ নিরবতা পালন করতে তাদের পক্ষে হয়ে কাজ করছে। তিনি আরও জানান। জেলা পুলিশ সুপার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি অবিলম্বে দ্রুত ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।সোহেল আমান আর-ও বলেন এই ইউনিয়নে পর-পর অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দিনরাত প্রকাশ্য গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দুইশটির উপর বোমা ফাটিয়ে এই ইউনিয়নে আতঙ্ক বিরাজ করেই যাচ্ছে। অথচ পুলিশ তাদের নামের তালিকা জেনেও ধরা থেকে বিরতি রয়েছে নিচ্ছে তাদের পক্ষ, গোমস্তাপুর থানা পুলিশ। আমরা গ্রামবাসী বোমা বিস্ফোরণের হামলা থেকে মুক্তি চায়।
সোহেল আমান অভিযোগ করে আরও বলেন, নতুন ওসি মনিরুল ইসলাম বাশার যোগদানের পর থেকেই আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী পেটোয়া বাহিনীর লোকজন এই ইউনিয়নে প্রকাশ্যে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলছে। অথচ ওসি নিরব ভূমিকায়। তাদের পক্ষ হয়ে কাজ করে যাচ্ছে, যে টাকা বেশি দিবে তার জরুরি ভাবে মামলা এন্টি হবে, টাকা বেশি না দিলে আমার মত এতো বড় ঘটনা হয়েও হয়েও মামলা রুজু হইনি।
এ বিষয়ে জানতে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনিরুল ইসলাম বাশার বলেন, আমরা এ ঘটনাটি নিয়ে জোড়ালো ভাবে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য তবে এ ঘটনার তদন্তেরভার এ এস আই রিপন’কে দেওয়া হয়েছে বলে যানা যায় তদন্ত করার পরও এখন পর্যন্ত মামলাটি আসামি ধরছে না এবং আসামিরা প্রতিনিয়তই থানা যাতায়াত করছে।
পর্ব-১ দ্বিতীয় পর্বে আসছে একাধিক চঞ্চল্যকর তথ্য।