স্টাফ রিপোর্টার:-
কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার জরুইন উত্তরপাড়া জামে মসজিদে “মানবতার বুড়িচং” সংগঠনের সৌজন্যে ফরজ নামাজ শেষে দোয়ার ব্যানার টাঙায় দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী তামিমুল ইসলাম বিজয় নামের এক মুসল্লী। সেই দোয়ার ব্যানার ছিঁড়াকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটে।
গত ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যার পরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুড়িচং থানায় অভিযোগ করেন তামিমের চাচাতো ভাই নাজমুল হাসান। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন, মো. অদুদ মিয়া (৩৮), মো. আরিফুল ইসলাম (২৬), মো. মান্নান মেম্বার(৬০) অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার “মানবতার বুড়িচং” সংগঠনের সৌজন্যে ফরজ নামাজ শেষে দোয়ার ব্যানার মসজিদের একপাশে টাঙিয়ে দেয় তামিম। এশার নামাজ শেষে উক্ত জামে মসজিদের সাবেক সেক্রেটারী মোঃ মান্নান মেম্বার জানতে চান,”কেন উনাকে জিজ্ঞেস না করে দোয়ার ব্যানার লাগানো হলো?” তামিমের উত্তর ছিল, “মসজিদ আল্লাহর ঘর সেখানে নামাজ শেষে পঠিতব্য দোয়া লাগানো স্বাভাবিক। তখন মোঃ মান্নান মেম্বার এর ছেলে এশার নামাজ শেষে উক্ত দোয়ার ব্যানারকে মসজিদের বাহিরে টাঙিয়ে দেয়। পরবর্তীতে জরইন গ্রামের শিক্ষার্থী মোঃ নাজমুল হাসান টুটুল উক্ত দোয়ার ব্যানার কেন বাহিরে রাখা হলো জানতে চায়। তখন মান্নান মেম্বার এর বড় ছেলে মোঃ অদুদ উক্ত দোয়ার ব্যানার জুতার বাক্সে ছুড়ে ফেলে দেয়।
টুটুল উনাকে সেই দোয়ার ব্যানার জুতার বাক্সে নিক্ষেপের প্রতিবাদ করে এবং পুরো ঘটনা ভিডিও করার মাধ্যমে কোরআন অবমাননার জন্য সকলের কাছে ক্ষমা ও আল্লাহর কাছে তওবা করার জন্য বলেন।তখন মান্নান মেম্বার নিজেকে বি এন পি নেতা পরিচয় দেয় এবং টুটুল ও কাকন কে মারধর শুরু করে পরবর্তীতে তামিম, কাকন, জাহিদ, হৃদয় সহ সকল সাধারণ শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে টুটুল ও কাকনকে উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা বুড়িচং হসপিটালে ট্রিটমেন্ট নিতে গেলে মান্নান মেম্বারের ছেলেরা সেখানে হামলার জন্য জনবল একত্রিত করার চেষ্টা করে। তৎক্ষণাত বুড়িচং থানা অফিসার ইনচার্জ হসপিটাল তত্ত্বাবধায়কদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ বাহিনী পাঠানোর মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন এবং কাকন কে ট্রিটমেন্ট এর জন্য কুমিল্লা সরকারি মেডিকেল কলেজে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। হসপিটালে আহতদের দেখতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা এবং জামায়াত নেতারা সহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আহত তামিমুল ইসলাম বিজয় বলেন, আমি মসজিদে কুরআনের আয়াত গুলো টাঙিয়েছি কিন্তু মান্নান মেম্বারের ছেলে সেটা ছিঁড়ে জুতার বাক্সে নিয়ে ফেলে রাখে। আমরা প্রতিবাদ করায় তারা আমাদের উপরে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। আমরা প্রশাসনের কাছে বিনা অপরাধে আক্রমণ ও ধর্ম অবমাননার বিচার দাবী করছি।
অভিযুক্ত মো. মান্নান মেম্বার বলেন, তাদের এ অভিযোগ মিথ্যা। তারা কুরআনের আয়াত লাগায় নাই। তারা অন্য একটা ব্যানার লাগিয়েছে। পরে মসজিদ কমিটি সেটা খুলে ফেলতে বলছে তাই আমার ছেলে সেটা খুলে ফেলছে। এ ঘটনায় তারা এসে আমার ছেলে এবং আমার উপরে হামলা করছে। আমরা এখন চিকিৎসাধীন।
বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আজিজুল হক বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি যদি অভিযোগ করে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।