তুষার দাস চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম জেলা মিরসরাই উপজেলার ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের গাজিটোলা নিতাই দাসের বাড়ীতে সনাতন ধর্মলম্বীদের সরস্বতী পূজা ও ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে
বসন্ত পঞ্চমী বা শ্রী পঞ্চমীতে উদযাপন করা হয় বিদ্যার দেবী শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা। বসন্ত পঞ্চমীকে অবুঝ মুহূর্ত হিসাবে বিবেচনা করা হয়, অর্থাৎ এটি বছরের সেই বিশেষ দিনগুলির মধ্যে একটি, যেদিন পঞ্চাঙ্গের দিকে না তাকিয়ে যে কোনও শুভ কাজ করা যেতে পারে। এই দিনে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান বিশেষভাবে অনুকূল থাকে। বসন্ত পঞ্চমীর দিন, চাঁদও একটি শুভ অবস্থানে থাকে, যা মানসিক শান্তি এবং আধ্যাত্মিক উন্নতি নিয়ে আসে। এই দিনে হলুদ কাপড় বাধ্যতামূলকভাবে পরিধান করা হয়, যা বৃহস্পতি গ্রহের প্রতীক এবং যা জ্ঞান, শুভ ও সৌভাগ্য নিয়ে আসে। এই দিনে জ্ঞানের দেবী মা সরস্বতীর পুজো করা হয়। মা সরস্বতীর একটি নাম হলশ্রী, তাই এই দিনটিকে শ্রী পঞ্চমীও বলা হয়। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, প্রতি বছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে বসন্ত পঞ্চমী পালিত হয়।হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, বসন্ত পঞ্চমীর দিনে, দেবী সরস্বতীর কাছে বুদ্ধি এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রার্থনা করা হয়। সঙ্গীত, শিল্প ও সাহিত্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এই দিনে বিশেষ পুজো করেন। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিশেষ বিদ্যাপাঠ স্কুলে সরস্বতী পূজা উদযাপন, সরস্বতী পূজা অত্যন্ত উৎসাহ ও আনন্দের সাথে উদযাপিত হয়েছে। এবারের পূজায় স্কুলের শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা একত্রিত হয়ে সরস্বতী দেবীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।পূজা উদযাপনে উপস্থিত
শিক্ষার্থীরা সরস্বতী দেবীর প্রতিমার কাছে ফুল, ফল, মিষ্টি ও পুঁথি রেখে তাদের বিদ্যার কল্যাণ কামনা করেন। বিশেষভাবে, শিক্ষার্থীদের হাতে গীতা, উৎসাহী করবে, সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে আরো জানা যায় উপজেলার প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাণী অর্চনায় বীনা পানি মাতা সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়।এছাড়াও সার্বজনীন ও ব্যক্তিগত ভাবেও এ পূজা উদযাপন করা হয়। আনন্দ মূখর পরিবেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছাত্র ছাত্রীরা অধিকাংশ সাদা, শুভ্র বস্ত্রে সরস্বতী রূপে সাজ সজ্জা করে পূজা মন্ডপে অংশগ্রহন করে। বিদ্যার জন্য মা সরস্বতীর কাছে তারা প্রার্থনা করে। উপজেলায় সরস্বতী পূজাকে কেন্দ্র করে রাস্তা-ঘাট, জনপথ অনেকটাই ছিলো মুখরিত। পূজারীদের পদভারে পূজা মন্ডপ আঙ্গিনা ছিলো কানায় কানায় পূর্ণ। আগত পূজারীরা মা সরস্বতীর কাছে প্রর্থনায় ছিলো মগ্ন। অনেকেই সেজেছিলো বর্ণিল সাজে।সরস্বতী পূজাকে কেন্দ্র করে, উপজেলা পাল পাড়ার মৃৎ শিল্পীরা বহুদিন পূর্ব থেকেই প্রতিমা নির্মানে দিন রাত নির্মান কাজ চালিয়ে আসছিলো। শুধু উপজেলায়ই নয় তার পাশ্ববর্তী, জেলা ও উপজেলায়ও সরস্বতী প্রতিমা বিক্রয় করে যথেষ্ট উপার্জন করছে বলে জানা যায়।সবকিছু মিলিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়।