সরকারি বরাদ্দকৃত টিওবয়েল যুবরাজ মেম্বারের জায়গায় তার স্ত্রীর নামে

Date:

নিজস্ব প্রতিবেদক:-  কুমিল্লা সদর দক্ষিন উপজেলায় ১নং বিজয়পুরের ৩ নং ওয়ার্ডের জনগনের পানি পান করার জন্য অগভীর নলকূপ স্থাপনাটি ব্যাক্তি মালিকানাধীন জায়গায়, পানি পান করার জন্য বঞ্চিত গরিব দুঃস্থ মানুষ।

১নং বিজয়পুর এর ০৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য যুবরাজ ভৌমিকের এমন কর্মকান্ডে হতবাক সাধারন জনগন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় এই অগভীর নলকূপটি গরিব দুঃস্থদের বরাদ্দকৃত হলেও তিনি নিজের জমিতে বসিয়েছেন, স্থানীয় লোকজন বলেন ক্ষমতার দাপটে তিনি এই কাজটি করেছেন, চারদিকে যুবরাজ ভৌমিকের জমি কয়েকদিনপর তিনি ওইখানে ভবন তৈরি করলে এই নলকূপটি তার নিজের হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে ১ নং বিজয়পুরের চেয়ারম্যান তানভীর হোসেনকে অবহিত করলে তিনি বলেন, এটি তার অর্থবছরের বরাদ্দকৃত নয়। তিনি দাবি করেন এটি আগের চেয়ারম্যান এর বরাদ্দকৃত।
এমতাবস্থায় অনুসন্ধানী টিম সদর দক্ষিন উপজেলার জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে, নথিপত্র বের করে দেখা যায় যে, ২৩-২৪ অর্থবছরে ২৬ টি নলকূপের বরাদ্দ এসেছে, যার মধ্যে ৫০% স্থানীয় সাংসদের সুপারিশ ক্রমে আর ৫০% ইউপি সদস্য এবং চেয়ারম্যানদের সুপারিশক্রমে। নথিপত্র বের করে করে দেখা যায় যে এই ফাইলে ১নং বিজয়পুরের চেয়ারম্যান তানভীর হোসেন পারভেজ এর সাইন রয়েছে যা তিনি অনুসন্ধান টিমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান কে আবারো অবহিত করলে, যখন বলা হয় এই ফাইলে আপনার সাইন রয়েছে, তখন তিনি বলেন, যুবরাজ ভৌমিক আমার কাছে বলেছেন যে কয়েকটি হিন্দু পরিবার পানি পান করবে তাই আমি ফাইলে সাইন করেছি, কিন্তু তিনি আমার সাথে প্রতারণা করেছেন আমি এর ব্যবস্থা নিচ্ছি।
অনুসন্ধানে আরো উঠে এসেছে যে, যুবরাজ ভৌমিক তার স্ত্রীর নামে এই বরাদ্দকৃত নলকূপটির ফাইল পাশ করিয়েছেন।

এ বিষয়ে সদর দক্ষিন উপজেলার জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা বলেন ভাই আমরা ক্ষমতার দাপটে অনেক কিছুই করতে পারি না, কিন্তু যেখানে নলকূপটি বসানো হয়েছে গরিব বা দুঃস্থ মানুষ পানি পান করতে পারেন না। এটা নেহাৎ অন্যায় হয়েছে।
উক্ত বিষয়ে ইউপি সদস্য যুবরাজ ভৌমিককে মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলে এটি আমার স্ত্রী এর নামে ফাইল পাশ করে নিয়ে এসেছি, গরিব মানুষ প্রতিনিয়ত পানি পান করছে। ভবিষ্যৎএ মার্কেট বা ভবন স্থাপনা করলে এটা আপনার হবে কিনা? তখন তিনি বলেন এটা পরে দেখা যাবে৷

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার রুবাই খানমকে অবহিত করলে তিনি বলেন, আমি নলকূপ বরাদ্দের পর সদর দক্ষিন উপজেলায় চার্জ নেই। এমন ঘটনার প্রক্ষিতে তিনি বলেন এখন থেকে আমার নির্দেশনা ছাড়া একটা নলকূপের ফাইল যেন সাইন না হয় তা তিনি নির্দেশ প্রদান করেন এবং এ বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সংবাদ চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Share post:

Subscribe

spot_img

Popular

More like this
Related

চকবাজার থানা ইউনিট দায়িত্বশীল শিক্ষা বৈঠক অনুষ্ঠিত

ইসমাইল চৌধুরী, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের শূরা সদস্য ও আন্তর্জাতিক...

চট্টগ্রাম প্রতিদিন অফিসে সংঘবদ্ধ হামলার চেষ্টায় ক্ষোভ, প্রতিবাদ, নিন্দার ঝড়

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম নগরীর চেরাগী পাহাড় এলাকায় অবস্থিত দৈনিক...

কুমিল্লা ইপিজেডে অস্বস্তিকরপরিবেশ-অপপ্রচারে হুমকির মুখে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ!

#জুট ব্যবসার একক নিয়ন্ত্রণে ২১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর...

বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনে হস্তক্ষেপ করে নি যুক্তরাষ্ট্র!

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং ড....