রূপালীদেশ প্রতিবেদক: দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিল। প্রতিদিন এখানে ছুটে আসেন হাজার হাজার দর্শণার্থী। কর্মব্যস্ততার ফাঁকে প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে কেউ একাকী, কেউবা প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে আসেন। উপভোগ করেন হাতিরঝিলের মনোরম দৃশ্য। বিনোদনের এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে দিন দিন বেড়েই চলছিলো অপরাধ। প্রায়ই ঘটতো খুন, ছিনতাইর মতো ঘটনা। এছাড়া মাদক সেবি ও কিশোর গ্যাং উৎপাতের দেখা মিলতো অহরহ। বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল অপরাধচক্র। আনসার বাহিনীর অন্য তম সৎ নিষ্ঠাবান আনসার কমান্ডার মো শাহ আলম তিনি ২০০৩ সালে আনসার বাহিনীতে যোগদান করেন, এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিরলস ও সততার সাথে কাজ করার জন্য ২০০৮ সালে তার ভালো কাজের দক্ষতায় আনসার কমান্ডার হিসাবে পদোন্নতি পান। রাজধানি উন্নয়ন কতৃপক্ষ (রাজউক) প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত থাকা কালিন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে পুলিশের ফেলে যাওয়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ সেনাবাহিনীর নিকটে জমা দিয়ে সুনাম অর্জন করেন। এরপর ১৫/১০/২০২৪ ইং তারিখ রাজউক নিয়ন্ত্রিত হাতিরঝিল এলাকার মগবাজার, কাওরান বাজার, তেজগাঁও, গুলশান ও বাড্ডা রামপুরা আংশিক স্থানে অপরাধ নির্মূলে পদায়ন করা হলে যোগদানের পর থেকে অপরাধ নির্মূলে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলছেন।
তার কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়ে রাজউকের নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট ও থানা পুলিশের সমন্বয় করে এসব অপরাধ কর্মকাণ্ড নির্মূল করে যাচ্ছেন।
মাদক সেবিদের কখনো থানায় সোপর্দ করছেন তো ছাত্র হলে “পরবর্তীতে আর মাদক সেবন করবোনা” মর্মে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন। তার নিয়ন্ত্রিত সহকর্মী (আনসার সদস্যরা) নির ঘুম নিরলসভাবে দিন রাত পরিশ্রম করে হাতিরঝিল এলাকার যানবাহন ও সম্পদ পাহাড় পাশাপাশি মাদক সেবি , চুরি,ছিন্তাই কিশোর গ্যাংক নির্মূলে ভূমিকা রাখছেন।
হাতিরঝিল এলাকায় বসবাসরত একাধিক বাসিন্দা জানান, দেশের এই করুন কালে আনসার সদস্য ভাইদের ডাকলেই পাওয়া যায়। কোথাও মাদক সেবি ও কিশোর গ্যাংক দেখলে তাদের মোবাইলে কল করলে অপ্ল সময়ের মধ্যেই টহল টীমের আনসার সদস্য চলে আসে। আমাদের এলাকায় আগে অহরহ অপরাধ সংগঠিত হতো, তবে আনসারদের দিন রাত নিরলস প্রচেষ্টায় এখন কিছুটা সস্তি আছি আমরা হাতিরঝিল এলাকাবাসীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক বাসিন্দা জানান, আমার ভাতিজা একজন কলেজ পড়ুয়া ছাত্র বখাটে ছেলেদের সাথে মিশে মাদকের সেবনে জড়িয়ে পরে যা আমরা কখনো জানতাম না। হাতিরঝিল এলাকায় ডিউটিরত আনসার সদস্যদের হাতে মাদক সেবন কালে ধরা পরলে ওর পরিবারকে ডেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন। এটা নিতান্তই একটা ভালো কাজ, নয়তো থানায় দিলে জেলে যেত ছাত্র জীবন শেষ হয়ে যেত আবার পরবর্তীতে বড় অপরাধও করতে পারতো। তার থেকে আনসার কমান্ডার শাহ আলমের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
হাতিরঝিল এলাকায় কর্তব্যরত একজন আনসার সদস্যর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ৫ আগষ্টের পরে এই এলাকায় চুরি ডাকাতি ছিন্তাই ও মাদক ব্যপক হারে বৃদ্ধি পায়। আমাদের কমান্ডার মো শাহ আলম স্যার হাতিরঝিল আনসার ক্যাম্পে যোগদানের পর থেকে তার নির্দেশনায় আমরা অনেকটা মাদক সেবি ও কিশোর গ্যাংক নির্মূল করতে পেরেছি। তিনি অত্যন্ত ভালো ও সাদা মনের ও সাহসি মানুয।