এম এ এইচ শাহীন, কোম্পানীগঞ্জ সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৫নং উত্তর রণিখাই ইউনিয়নে জন্মদাতা পিতার পরিচয় না দিয়ে অর্থ লোভে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমাছ আলী,আপন মামা কে পিতা বানিয়ে ভাগ্নি ফজরুন নেছার সকল সরকারী সম্মানী ভাতা উত্তোলন সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন।
কাগজপত্রে দেখা যায় ফজরুন নেছা পিতা মৃত তোতা মিয়া, মাতা আস্তুরা বেগম, আপন মায়ের সাথে ও প্রতারণা জালিয়াতির মাধ্যমে তাহার সুচতুর-স্বামী চাঁন মিয়া,পিতা মদরিছ আলী কাকুরাইলের বাসিন্দা এদের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার নামীয় সকল ভাতার ৪৮লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে।উক্ত মুক্তিযুদ্ধার কোন সন্তানাদি ছেলে-মেয়ে না থাকায় উত্তরাধিকারী সূত্রে ভাইয়ের সম্পদে বোনের অগ্রাধিকার।
তা থাকা সত্বেও মা আস্তুরা বেগম, স্বামী- মৃত তোতা মিয়া, গ্রাম বিজয় পারুয়া এই বয়োবৃদ্ধা, কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন আমি একজন অসহায় মহিলা আমার মেয়ে ও জামাই আমাকে ঠকিয়েছে রীতিমতো শারীরিক ও মানসিক কষ্ট দিয়ে তিলে তিলে শেষ করছে। আমার পিতা মাতা ও ভাই বোন জীবিত নাই, তাহাদের কোন উত্তরাধীকারী নাই, আমার মেজো ভাই আলমাছ আলী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, আমার ভাইয়ের মৃত্যুর পর তাহার নামীয় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা গ্রহণের একমাত্র উত্তরাধীকারীনি আমি হইলেও প্রতারক মেয়ের জামাই মোঃ চাঁন মিয়ার প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।
আমার মেয়ে ফজরুন নেছা আমার স্বামী মৃত তোতা মিয়ার ঔরষে জন্ম গ্রহণ করে পিতার পরিচয় গোপন করে আমার ভাই তাহার মামাকে জন্মদাতা পিতা বানিয়ে, বিগত ৩০ বৎসরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা-বাবদ ৪৮ লক্ষ টাকা উত্তোলন করিয়া আত্মসাৎ করিয়াছে প্রশাসনের সু দৃষ্টি আকর্ষণ এবং আমি তাহার কঠিন বিচার দাবি করছি।
এবিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিবুন নাহার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সময়ের কণ্ঠস্বর কে জানান।আমি ১৪ তারিখে কোম্পানীগঞ্জে যোগদান করি এবিষয়ে অবগত নই বিষয়টি সত্য হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।