ইসমাইল চৌধুরী, চট্টগ্রাম ব্যুরো: দীর্ঘ ১৯ বছর পর নগরের চকবাজার প্যারেড মাঠে ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের আয়োজনে তাফসিরুল কুরআন মাহফিল ২৭-৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মোফাস্সিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর স্মৃতিবিজড়িত মাহফিলে শেষ দিন প্রধান মুফাচ্ছির হিসেবে অংশ নেবেন জনপ্রিয় ইসলামি চিন্তাবিদ ড. মিজানুর রহমান আজহারি। ইতোমধ্যে মাহফিল সুষ্ঠুভাবে সফল করার লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তাহের এসব তথ্য জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সহ-সভাপতি মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, পরিষদের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, তাফসিরুল কুরআন মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটির প্রচার বিভাগীয় দায়িত্বশীল ও সাংবাদিক মুহাম্মদ উল্লাহ, ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সেলিম উল্লাহ জামান প্রমুখ।
অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তাহের বলেন, এবারের তাফসির মাহফিলের প্রস্তুতি কাজ আরো আগে থেকে শুরু হয়েছে। এ উদ্দেশ্যে তাফসির এন্তেজামিয়া কমিটি ও ১৯টি সাব-কমিটি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আল্লাহ তায়ালার মেহেরবানিতে প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। নগরবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। আশা করছি মাহফিলে বিপুল শ্রোতার সমাবেশ ঘটবে। আমরা অনুভব করছি সেই তুলনায় মাঠটি যথেষ্ট নয়। তাই আমরা সমাবেশের সংকুলান ও শোনার সুবিধার্থে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
প্যারেড মাঠের মূল প্যান্ডেলে এবার নারীদের প্যান্ডেল থাকবে না। স্বেচ্ছাসেবকগণ মাঠের নিয়ম শৃঙ্খলা সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করবেন। সাথে থাকবেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
মাহফিলে আসা নারী শ্রোতাদের আসা যাওয়া বসা ও শুনার সহজ ব্যবস্থার উদ্দেশ্যে এবার মূল মাঠের দক্ষিণে মহসিন কলেজের মাঠ, কাজেম আলী হাই স্কুল ও গুলজার বেগম হাই স্কুলে এবং মূল মাঠের উত্তরে কিশলয় কমিউনিটি সেন্টার ও কাপাসগোলা কলেজে প্যান্ডেল থাকবে।
প্যারেড মাঠের চতুর্দিকে দক্ষিণে আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদ মোড় ও জামালখান তথা চেরাগিপাহাড় মোড় পর্যন্ত, উত্তরে মেডিক্যাল কলেজ ও পাঁচলাইশ থানা মোড় পর্যন্ত, পূর্বে চকবাজার ধুনির পোল ও বাকলিয়া এক্সেস রোডের সুবিধাজনক অংশ পর্যন্ত এবং পশ্চিমে মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল পরবর্তী সিজিএস স্কুল মোড় পর্যন্ত এলাকায় অবস্থিত মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মার্কেটগুলোর সদয় সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ সব এলাকায় যে সব শ্রোতা সমবেত হবেন তাদের শোনার ব্যবস্থা থাকবে। যথাসম্ভব এলইডির ব্যবস্থা থাকবে।