সাহিদুল এনাম পল্লব ,ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ জেলায় ৬ টি উপজেলায় ৬৭টি ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। জেলার প্রতিটা ইউনিয়নে রয়েছে ১টি করে ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য কল্যান কেন্দ্র। এখান থেকে গর্ভবতী মায়েদের বিভিন্ন প্রকার সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। এখন গর্ভবতী মায়েরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র গুলোতে কোন সমস্যায় পড়লে গেলে তাদের মিলছে না কোন ওষুধপত্র। ওষুধ না থাকার ফলে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকরা পড়েছে সংকটে। গর্ভবতী মায়েরা তাদের কাছে সেবা নিতে আসলে যখন তাদের ঔষধ দিতে পারছে না তখন তারা তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করছে। এখন প্রতিটা ইউনিয়নের কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সহ যে সমস্ত পরিকল্পনা পরিকল্পনা পরিদর্শক কর্মরত আছে তাদের নাম সর্বোচ্চ হাজিরা দিয়ে বসে থাকা ছাড়া কোন গতান্তর নেই। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র সূত্র থেকে জানা গেছে যে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র থেকে আইরন, ফলিক এসিড, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, এলবেন, প্যারাসিটামল, এন্টাসিড, প্যানটোপ্লাজল, মেট্রোনিডাজল, হিস্টাসিন, কডিম, ডবিত্রসাইক্লিন, এমোক্সিসিলিন, এমোক্সিসিলিন ড্রোপ , কট্রিম সিরাপ, প্যারাসিটামল সিরাপ, ড্রাটাভেরিন, বেলজিয়াম এসিড মলম, জিং ট্যাবলেট, ওরাল স্যালাইন সহ ২১ টি আইটেমের ওষুধ সরবরাহ করা হয়। এই প্রসঙ্গে সদর উপজেলার পদ্মাকার ইউনিয়নের পরিদর্শক রিক্তা খাতুন জানান যে গত ২৬ শে নভেম্বর ঔষধ পেয়েছিলাম তারপরে ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসে কোন ওষুধ সরবরাহ পাই নাই। যার কারনে নারীরা সেবা নিতে আসলে তাদের ওষুধ না দিতে পারলে তারা বিভিন্ন রকম কথাবার্তা বলছে। যাহাতে আমরা বেশ বিব্রতকর অবস্থার ভিতরে পড়ে যাচ্ছি। পোড়াহাটি ইউনিয়নের পরিদর্শক মাকছিমা জানান যে গত দুই মাস ওষুধ না থাকার ফলে আমাদের কার্য পরিচালনা করা খুব সমস্যা জনক ব্যাপার হয়ে পড়ছে। কোথাও গেলে ওষুধ না থাকার কারণে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। ঝিনাইদহ সদর ও হরিনাকুন্ডু উপজেলায় সিনিয়র পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত শিউলি বিশ্বাস জানান যে আমাদের স্টোরে ঔষধ না থাকার কারণে আমরা ঔষধ সংগ্রহ করতে পারছি না। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ তানিয়া আক্তার তৃপ্তি বলেন যে প্রায় দুই মাস হল আমাদের উপজেলায় ওষুধ আসছে না যার কারণে আমরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ করতে পারছি না। হরিণাকুন্ডু উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাসরিনের সাথে কথা বলে জানা যায় যে তাদের ২ মাস ধরে যশোর থেকেই ওষুধ পাঠাচ্ছে না। যার কারণে তারা গর্ভবতী মায়েদের শুধু সচেতনতামূলক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। কালিগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার কামাল হোসেন জানান তার উপজেলায় নভেম্বর মাসে ওষুধ সরবরাহ করেছিল ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসে ওষুধ পাওয়া যায় নাই যার কারণে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। ঝিনাইদহ জেলা পরিবার পরিকল্পনা উপপরিচালক মোজাম্মেল করিম এর সাথে কথা বলে যারা যায় যে জেলার ৬৭ টা ইউনিয়নেই ওষুধের ব্যাপক সংকট রয়েছে। যশোর থেকে এখানে ওষুধ আসে। আমি ঔষধ নাই বিষয়টা জানিয়েছি। তবে আশা করি সমস্যাটা তাড়াতাড়ি সমাধান হয়ে যাবে।
ঝিনাইদহে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে
Date: