নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীতে বিএনপি নেতা রব্বানী হত্যার ১১ মাস পর আ.লীগের ৪১জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন মৃত গোলাম রব্বানীর স্ত্রী শাহনাজ বেগম। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নীলফামারী সদর কগ্নীজেন্স জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করে সুবিচার প্রার্থনা করেন তিনি।
উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- নীলফামারী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল হাসান শাহ আপেল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার প্রমুখ।
আরজি সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৩ সালে জেলা সদরের রামগঞ্জ বাজারে সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নুরের গাড়ী বহরে হামলার ঘটনায় বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানীর বাড়ীতে হামলা ও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে আরজিতে আসামীর শ্রেণীভুক্তরাসহ অজ্ঞাত নামা আরো ১ হাজার লোকজন।
মামলার বাদী বিএনপি নেতা মৃত গোলাম রব্বানীর স্ত্রী শাহনাজ বেগম জানান, “আমার স্বামী মৃত গোলাম রব্বানী সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের গাড়ী বহরে হামলার ঘটনায় আমার স্বামী গোলাম রব্বানীকে আসামী করে থানায় মামলা করে। গত ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৩ সালে বিকেল ৪টা আরজিতে উল্লেখিত আসামীরা আমার বাড়ীতে আমার স্বামীকে খুঁজেতে আসে, না পেয়ে আমার বাড়ী লুটপাট, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এমনকি আসামীরা আমার স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। আমার স্বামী মৃত গোলাম রব্বানী প্রাণের ভয়ে আমার পঞ্চগড় জেলাস্থ এক আত্মীয়ের বাড়ীতে নিজেকে আত্মগোপন করে “।
তিনি আরোও বলেন, “গত ১৫ জানুয়ারী ২০১৪ সালে পঞ্চগড়স্থ ওই আত্মীয়ের বাড়ীতে নীলফামারী সদর থানার পুলিশ ও র্যাব পরিচয়ে আমার স্বামী মৃত গোলাম রব্বানীকে তুলে যায়। আমি বিভিন্ন স্থানে আমার স্বামী খোঁজ করার এক পর্যায়ে গত ১৮ জানুয়ারী ২০১৪ সালে সদর উপজেলার আরাজী ইটাখোলা এলাকায় নীলফামারী থেকে ডোমার সড়কের পাশে বাঁশঝাড়ে আমার স্বামীর মৃত দেহ পাই। আমার স্বামীকে হারিয়ে আমি আমার ছোটছোট বাচ্চাদের নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ি। কিন্তু আরজি বর্ণিত আসামীরা আমাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করতে শুরু করে। ফলে আমি ছোটছোট বাচ্চাদের নিয়ে ৬/৭ মাস আত্মগোপনে থাকি। আমি আমার স্বামীর নির্মম হত্যার বিচার চাই”।
মামলার বাদী শাহনাজ বেগম আরো জানান, “নীলফামারী জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মমতা এঁর মাধ্যমে মামলাটি দাখিল করেছি”।