বিশেষ প্রতিনিধি: বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার সীমান্তের কটকবাজার থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেন কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। নিহত ব্যক্তি হলেন, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের গাজীপুর মাজার এলাকার মৃত কাজী নজির মিয়ার ছেলে কাজী ছবির (৪২)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ছবির হোসেন কোনো অবৈধ কাজের সাথে জড়িত নয়। সে ওই জায়গায় মূলত খেজুরের রস খাওয়ার জন্য যাইতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা যাচ্ছে। ওই স্থানে একটি ফসলি জমি আবাদের একটি জন্য পানির মেশিন ঘর রয়েছে। ওই স্থান দিয়ে মাদকসহ অবৈধ মালামাল ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে আসে। এছাড়াও সর্বদায় বিজিবির সদস্যরা ডিউটি পালন করেন কারণ এই রাস্তায় ইন্ডিয়া থেকে সব সময় অবৈধ মালামাল’’সহ মাদক’’র চোরা চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা যাচ্ছে মাদকের কোন চোরা চালান কিংবা লেনদেনের দৃশ্য দেখে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রাতের বেলায় সীমান্তের দিকে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শোনা গেলেও কেউ তখন তাকে বাঁচাতে আসেনি। পরবর্তীতে সকাল বেলায় বিজিবি ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ দেখতে পায়।
বিবির বাজারের বিজিবি সুবেদার ওসিবুর রহমান বলেন, একটি মরদেহ অবস্থায় আমরা সীমান্তের নিকটবর্তী জায়গায় পাই। পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনর্চাজ মহিনুল ইসলাম জানান যে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এটি এখনো বলা যাচ্ছে না তবে লাশ সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়নাতদন্ত পাঠানো হয়েছে তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আমরা কিছুই বলতে পারছি না আসল রহস্য কি।
এছাড়াও এলাকাবাসীর দাবি মরদেহের শরীরে অসংখ্য বুট জুতার আঘাত”র চিহ্ন সহ নিলাফুলা ও মারাত্মক জখম রয়েছে। লাশ যেখানে পরেছিল সেই স্থানে বিজিবির লোক ছাড়া কেহ প্রবেশ করতে পারেন না। প্রাথমিকভাবে ধারণ করা হচ্ছে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে গভীর রাতে বাচা বাঁচাও চিৎকারের শব্দ শুনতে পায় তারা সকালে তারা ওই যুবকের মরদেহ দেখতে পায় ওই স্থানে। তবে রাতে কেহ উদ্ধার করতে আসেনি কারণ ঐ স্থানটি বিজিবির আওতাধীন এবং ঐস্থানে কারো প্রবেশ নিষেধ বলেও জানান এলাকাবাসী। তবে বিজিবি হত্যা করতে পারে বলেও ধারণা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।